পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত মৌসুনি আইল্যান্ড এক অনন্য ভ্রমণ গন্তব্য, যেখানে প্রকৃতি ও নির্জনতা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অপূর্ব পরিবেশ। এটি সুন্দরবনের এক অংশ, যা মাটির ঘর, খোলা আকাশ, বালুকাবেলা, ও সাগরের ঢেউয়ের এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি করে।
অপরূপ সৈকত ও প্রকৃতি:
মৌসুনি আইল্যান্ডের প্রধান আকর্ষণ হলো এর নিরিবিলি সৈকত, যেখানে ভিড় নেই, শুধু সমুদ্রের গর্জন ও বাতাসের শীতল পরশ। এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য অতুলনীয়।
ক্যাম্পিং ও অ্যাডভেঞ্চার:
এখানে পর্যটকদের জন্য টেন্ট ক্যাম্পিং অন্যতম আকর্ষণ। রাতের আকাশে অসংখ্য তারার মাঝে ক্যাম্পফায়ার আর সাগরের গর্জন এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
জীববৈচিত্র্য ও নদীর মোহনা:
গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থলে অবস্থিত এই দ্বীপটি পাখিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। বহু বিরল প্রজাতির পাখির দেখা মেলে এখানে।
সুস্বাদু স্থানীয় খাবার:
মৌসুনি আইল্যান্ডে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে টাটকা মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ির স্বাদ নিতে পারেন। বাঙালি খাবারের আসল স্বাদ পাবেন এখানেই।
প্রথমে আপনাকে নামখানা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে।
সেখান থেকে টোটো বা ম্যাজিক ভ্যানে করে হাটানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পার করতে হবে (বর্তমানে নদীর ওপর ব্রিজ রয়েছে)।
এরপর ৭ মাইল বা ১০ মাইল বাজারে পৌঁছাতে হবে।
অন্য উপায়:
নামখানা পৌঁছে বকখালি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস নিয়ে ৭ মাইল বা ১০ মাইল বাজারে নামতে হবে।
সেখান থেকে টোটো (ই-রিকশা) নিয়ে হুজুতের খেয়া ঘাট (৭ মাইল পথে) বা পাতিবুনিয়া ফেরি ঘাট (১০ মাইল পথে) যেতে হবে।
নামখানা/হাটানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পার করে ৭ মাইল (১৪.৪ কিমি) বা ১০ মাইল (১৬ কিমি) থেকে ডান দিকে যেতে হবে।
নামখানা/হাটানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পার করে ৭ মাইল (১৪.৪ কিমি) বা ১০ মাইল (১৬ কিমি) থেকে ডান দিকে যেতে হবে।
কলকাতা থেকে বকখালি গামী সরকারি বাস ধরে ৭ মাইল বা ১০ মাইল বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো (ই-রিকশা) নিয়ে—হুজুতের খেয়া ঘাট হয়ে সমুদ্র সৈকতে যেতে ৩০ মিনিটের টোটো যাত্রা।পাতিবুনিয়া ফেরি ঘাট হয়ে সমুদ্র সৈকতে যেতে ১৫ মিনিটের মোটর ভ্যান বা টোটো যাত্রা।
শীতকাল ও বসন্ত মৌসুমি আইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ সময়। তখন আবহাওয়া মনোরম থাকে, আর সমুদ্র তীরের পরিবেশ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
যদি প্রকৃতির সান্নিধ্যে শান্তি ও অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে থাকেন, তবে মৌসুনি আইল্যান্ড আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি নিয়ে প্রকৃতির কোলে দু’দিন কাটানোর জন্য এই জায়গাটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ পছন্দ! 🌊⛺🔥